অনলাইন ডেস্কঃ মানি লন্ডারিংয়ের মামলায় ড. ইউনূসসহ ১৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি আজ। বৃহস্পতিবার (২ মে) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেনের আদালতে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলাটির অভিযোগ গঠনের শুনানি হবে। ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ মামলায় অন্য অভিযুক্তরা হলেন, গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম, এসএম হুজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী ও জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান, ইউনিয়নের প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম ও দপ্তর সম্পাদক মো. কামরুল হাসান।
এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রের অনুমোদন দিয়েছিল দুদক। পরবর্তীতে ২ ফেব্রুয়ারি নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে করা অভিযোগপত্র (চার্জশিট) আদালতে দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আরও পড়ুন আপিল করতে ড. ইউনূসকে ৫০ কোটি টাকা দিতে হবে: হাইকোর্ট
উল্লেখ্য, গত বছরের ৩০ মে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক। সংস্থার উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গ্রামীণ টেলিকমের কর্মচারীদের পাওনা লভ্যাংশ বিতরণের জন্য শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সঙ্গে একটি সেটলমেন্ট চুক্তি হয় ২০২২ সালের ২৭ এপ্রিল। এর পর ৯ মে গ্রামীণ টেলিকমের বোর্ড সভায় একটি অ্যাকাউন্ট খোলার সিদ্ধান্ত হয়।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ব্যাংক হিসাব খোলার আগেই সেটলমেন্ট চুক্তিতে সেটিকে দেখানো হয়েছে। এজন্য সেটলমেন্ট চুক্তিকে ভুয়া হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে মামলার নথিতে। মামলায় আরো অভিযোগ তোলা হয়, লভ্যাংশ বিতরণের আগে শ্রমিকদের না জানিয়ে তাদের পাওনা টাকা বেশ কয়েকজন শ্রমিক ইউনিয়ন নেতার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়েছে। এ টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যেই এমন কাজ করা হয়েছে।
তথ্যসূত্র: বণিক বার্তা
Leave a Reply